সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক নিজেকে বাঁচাতে চুল, দাঁড়ি কেটে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারেককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এই মামলার এজাহারভূক্ত সব আসামিকেই গ্রেফতার করা হলো।
র্যাব-৯ -এর অতিরিক্ত পুলিশ সামিউল আলমকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাকে সিলেট নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় এজাহারে নাম না থাকলেও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে আইনুদ্দিন ও রাজনের নাম প্রকাশিত হলে জড়িত সন্দেহে আইনুল ও রাজন নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এই মামলার অন্য আসমিদের মধ্যে সোমবার রাত ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে এই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এর আগে রোববার সকালে ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও মাধবুপর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।
একই রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই রাতেই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো: আইনুদ্দিন ও মো: রাজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯। রোববার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। গ্রেফতার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনুদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে এসে সন্ধ্যায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। পরে রাতে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ইতোমধ্যে এজাহার নামীয় ছয় আসামিসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
Leave a Reply